রাজনীতি

তৌহিদি জনতার নৈরাজ্যের পেছনে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র: রিজভী

  স্টাফ রিপোর্টার ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ২:৫০:৪৭ প্রিন্ট সংস্করণ

তৌহিদি জনতার নামে দেশে যে উৎপাত ও নৈরাজ্য শুরু হয়েছে তার পেছনে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে আয়োজিত মিলাদ মাহফিলে অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রিজভী বলেন, “নানা ফতোয়া দিয়ে ধর্মের নামে বিভাজন সৃষ্টি করা হচ্ছে। আজ আমরা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছি। আমরা কারো মাজার ভাঙছি, কারো লাশ পুড়িয়ে দিচ্ছি— অথচ এগুলো রাসুলের শিক্ষা নয়।”

তিনি আরও বলেন, “দেশে নৈরাজ্য চলছে। তৌহিদি জনতার পেছনে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে। বিএনপির আমলে যেমন শেখ হাসিনা দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চক্রান্ত করেছিল, আবারও কি সেরকম কোনো ষড়যন্ত্র হচ্ছে— তা অন্তবর্তীকালীন সরকারকে খুঁজে বের করতে হবে।”

বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করে বলেন, “ভেতর থেকে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। পাকিস্তান আমলেও কখনো মাজার আক্রমণ বা লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা শোনা যায়নি। তাহলে হঠাৎ দেশে এ ধরনের নৈরাজ্য কেন বাড়ছে?”

তিনি আরও বলেন, “আমরা গণতন্ত্রের চেতনাই বলি বা রাষ্ট্রীয় চেতনাই বলি— পৃথিবীর কাছে নিদর্শন দিয়ে গেছেন আরবের সেই মহামানব। কিন্তু আমরা তার শিক্ষা থেকে দূরে সরে গিয়ে নিজেদের ইসলামকে বিভাজনের মধ্যে ফেলে দিচ্ছি। অথচ মহানবী ছিলেন ঐক্যের প্রতীক।”

মিলাদ মাহফিলে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় নেতা মীর শরাফত আলী শফু উপস্থিত ছিলেন। মোনাজাত পরিচালনা করেন ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা সেলিম রেজা।

উল্লেখ্য, শুক্রবার বিকেলে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে ইমাম মাহদী দাবি করা নুরাল পাগলার মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে প্রকাশ্যে আগুনে পুড়িয়ে দেয় তৌহিদি জনতা। এ ঘটনায় সংঘর্ষে নুরাল পাগলার অনুসারী রাসেল মোল্লা (২৮) নিহত হন।

আরও খবর

Sponsered content