রাজনীতি

আমি জামায়াতে যোগ দেওয়ায় হিন্দুদের মনে শান্তি নেমে এসেছে: কৃষ্ণ নন্দী

  প্রতিনিধি ১১ ডিসেম্বর ২০২৫ , ৮:২৫:২০ প্রিন্ট সংস্করণ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সনাতনী শাখার খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা সভাপতি ও খুলনা-১ আসনে দলটির মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী কৃষ্ণ নন্দী বলেছেন, ‘আমি জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দেওয়ায় হিন্দু সম্প্রদায় অপমানিত হয়েলে আমি মনে করি না। বরং হিন্দুদের মনে শান্তি নেমে এসেছে। আমি নির্বাচিত হলে হিন্দুদের প্রতিনিধিত্ব করব।’

বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় খুলনা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

ওয়ার্ল্ড হিন্দু স্ট্রাইগল কমিটির নেতা শিপন কুমার বসু কর্তৃক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) প্রযুক্তির মাধ্যমে ছবি তৈরি করে অপপ্রচারের অভিযোগের ব্যখ্যা দিতেই কৃষ্ণ নন্দী এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।

কৃষ্ণ নদী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত (দাকোপ-বটিয়াঘাটা) খুলনা-১ আসনের দাঁড়িপাল্লার প্রার্থী হিসেবে কাজ শুরু করেছি। এ অবস্থায় জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে ভারতে অবস্থানরত ওয়ার্ল্ড হিন্দু স্ট্রাইগল কমিটির নেতা শিপন কুমার বসু আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও অপপ্রচার করছে।’

তিনি অভিযোগ করেন, ‘শিপন বসু একজন ব্ল্যাকমেইলার ও আন্তর্জাতিক চাঁদাবাজ। সে আমার মোবাইল নম্বর ম্যানেজ করে বিভিন্ন কৌশলে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে, আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং জীবন নাশের হুমকি দিয়ে বলে আমি হিন্দু হয়ে কেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করে হিন্দুধর্মকে বিতর্কিত করছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাকে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত দাঁড়িপাল্লার প্রার্থী হিসেবে ঘোষণার মাধ্যমে স্পষ্টভাবে হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে প্রমাণিত হয় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটা অসাম্প্রদায়িক দল। আমাকে প্রার্থী করায় সারা বাংলাদেশে হিন্দুদের দাঁড়িপাল্লার পক্ষে ব্যাপক গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। জামায়াত আমাকে মনোনয়ন দেওয়ার পরই একটি মহল আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার, মিথ্যা প্রপাগন্ডা শুরু করেছে। যা প্রমাণ করে এটা গভীর ষড়যন্ত্রেরই একটি অংশ।’

সংবাদ সম্মেলনে কৃষ্ণ নন্দী বলেন, ‘আমাকে খুলনা-১ আসনে মনোনয়ন দেওয়ার আগে সেখানে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী ছিলেন দলের বটিয়াঘাটা উপজেলা আমির মাওলানা শেখ মোহাম্মদ আবু ইউসুফ। তাকে পরিবর্তন করে আমাকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার পরপরই মাওলানা শেখ মোহাম্মদ আবু ইউসুফ আমাকে সমর্থন করেন এবং আমরা একসঙ্গে নির্বাচনী প্রচারণার কাজ করছি। আমাদের ভেতর কোনো ভুল বোঝাবুঝি নেই।’

তিনি বলেন, ‘ওয়ার্ল্ড হিন্দু স্ট্রাইগল কমিটির নেতা শিপন কুমার বসুর সঙ্গে আমার টেলিফোনে পরিচয় হয়। ব্যবসার স্বার্থে তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। ভারতে গিয়ে তার বাসায় খেয়েছি। কিন্তু সে এভাবে ফেসবুকে ছড়াবে বুঝতে পারিনি। সে আমার মোবাইল নম্বর ম্যানেজ করে বিভিন্ন কৌশলে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং জীবন নাশের হুমকি দিয়ে বলে আমি হিন্দু হয়ে কেন জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করে হিন্দু ধর্মকে বির্তকিত করছি।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে কৃষ্ণ নন্দী বলেন, ‘বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে আমার কোনো যোগাযোগ নেই। ইসরায়েলের গুপ্তচর মোসাদের মেনদি সাফাদিকে চিনি না।’

৫ আগষ্টে চুকনগরে কারা ব্য্বসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেছে জানতে চাইলে কৃষ্ণ নন্দী বলেন, ‘দৃস্কৃতিকারীরা আমার ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে এ ঘটনায় ঘটিয়েছে। আমি জিডি করে রেখেছি। পরে পুলিশ তদন্ত করে বের করবে কারা জড়িত।’

আরও খবর

Sponsered content